ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বিজ্ঞান মেলায় বক্তারা: দেশগড়ার কারিগর শিক্ষার্থীদের জ্ঞান-বিজ্ঞান নির্ভর সুদক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  আগামীর দেশগড়ার কারিগর নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে সম্ভাবনার সুন্দর আগামী নিশ্চিতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত “জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি” ৪১তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান মেলা-২০১৯ এর তিন ব্যাপী বিজ্ঞান মেলা ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়ার্ড এবং সমাপনী অনুষ্ঠান শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি মো.তানভীর হোসেন এর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সুফন নন্দী, উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মুনীর চৌধুরী, মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের একাডেমিক সুপারভাইজার রতন বিশ^াস, সহকারি প্রোগ্রাগার আইসিটি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা আসনার ভিডিপি কর্মকর্তা গণেশ যাদব। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। মেলায় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সরকারি দপ্তর থেকে অন্তত ৩২টি স্টল অংশগ্রহন করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলহাজ জাফর আলম এমপি বলেছেন, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করতে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষাখাতে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বর্তমান সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাখাতের অগ্রউন্নয়নের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

সরকার প্রধানের সদিচ্ছার কারনে আজ নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার সুষ্ট পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব ধরণের কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন। শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে নিরক্ষতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। সেইলক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই পাচ্ছে। লেখাপড়া করতে সব ধরণের উপবৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে। মেধাবীদের সরকারি চাকুরী নিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্পসহ নানা ধরণের প্রনোদনা প্রকল্প। যাতে শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা নিয়ে সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে। নিজেকে আগামীর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরী করতে পারে।

এমপি জাফর আলম আরও বলেন, লেখাপড়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হিসেবে তৈরী করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বেগবান করতে হবে। কারণ আজকের নতুন প্রজন্ম হবে আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। তাই সেইভাবে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের তৈরী করতে সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। ##

পাঠকের মতামত: